কালিয়াকৈরে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম,গ্রেপ্তার ২
এবিষয়ে জাকির দেওয়ান বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আটককৃত হলেন, উপজেলার চান্দরা এলাকার সরবেশ মিয়ার ছেলে আশিকুজ্জামান বকুল ও বিপ্রবর্থা এলাকার পারভেজ দেওয়ানের ছেলে সুমন দেওয়ান ।
স্থানীয় ও থানায় অভিযোগ সূএে জানা যায়,
জাকির হোসেন চান্দরা এপেক্স লেনজারি গেটে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে আশিকুজ্জামান বকুল ও সুমন দেওয়ান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং এলোপাথারী মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। এ সময় তার ডাকে ভাতিজি জামাই মহসীন মিয়া এগিয়ে আসলে আশিকুজ্জামান বকুল চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মহসিন মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে স্বজোরে কোপ দিলে তার কপালের মাঝখানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। তখন সুমন দেওয়ানো তাহার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে জাকির হোসেনের ভাতিজি জামাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ দিলে সেই কোপ তার ভাতিজি জামাই ফিরাইতে যাইয়া তাহার বাম হাতের কব্জির উপরে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। তখন মহসিন মিয়া অজ্ঞান হইয়া নিচে পড়িয়া থাকে। তখন জাকির হোসেনের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা হুমকি দেয় ঘটনার বিষয় নিয়া কেউ কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করিলে খুন জখম করা সহ বড় ধরনের ক্ষতি সাধিত করবে। এ সময় আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া বিবাদীদ্বয়কে চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি সহ আটক করিয়া থানায় সংবাদ দিলে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া বিবাদীদ্বয় সহ চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি হেফাজতে নেন।
লোকজনদের সহায়তায় মহসিন মিয়াকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাহার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান পূর্বক তাহার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় অন্যত্র রেফার্ড করিলে মহসিনকে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আশংকা জনক অবস্থায় আইসিওতে চিকিৎসাধীন আছে তিনি।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, মারামারির ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়া দিন রয়েছে।