কালিয়াকৈরে ট্রাক চাপায় নিহত ১, আহত ২, ট্রাকে অগ্নিসংযোগ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ট্রাক চাপায় এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই নারী শ্রমিক। এসময় ঘাতক ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও চালক-হেলপারকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছেন শ্রমিকরা। এছাড়া নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ ও ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে প্রায় ৩ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন সহকর্মীরা। সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণে নিলেও মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা।
এলাকাবাসী, শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের মতো দুপুরে শিল্পকারখানা গুলোতে খাবারের বিরতি দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। আর শ্রমিকরা তাড়াহুড়ো করে দুপুরে খাবার খেতে কারখানা থেকে বের হন। কিন্তু ওই এলাকায় মহাসড়ক পারাপারের সময় বেপরোয়াগতির একটি ট্রাকের চাপায় স্টারলিং ডিজাইন্স লিমিটেড কারখানার এক নারী শ্রমিক ঘটনাস্থলে মারা যান। এসময় অপর দুই নারী শ্রমিক আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহতদের নাম জানা যায়নি। আশপাশে থাকা সহকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
এ দুর্ঘটনার খবরটি মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঘাতক ট্রাকটি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করে গণপিটুনি দেয় শ্রমিকরা। পরে শ্রমিকরা নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপুরণ ও ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মহাসড়কটি অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করে। এতে মহাসড়কের উভয়পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রায় ৩ ঘন্টা অবরোধে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে দ্রুত তাদের দাবী পুরণের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে মহাসড়ক থেকে চলে যান শ্রমিকরা। পরে ধীরে ধীরে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, ট্রাক চাপায় নারী শ্রমিকের মৃত্যুর পর শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। তাৎক্ষনিকভাবে নিহত ও আহতদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি। এছাড়াও শুনেছি ট্রাকের চালক ও হেলপার আটক রয়েছে। এখনো তাদের উদ্ধার করতে পারিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, ট্রাক চাপায় এক নারী শ্রমিক নিহতের ঘটনায় ঘাতক ট্রাককে অগ্নিসংযোগ করলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।